ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, মারার আগে খাওয়ানো হয়েছিল ভাত

নতুনদেশ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ এএম

ছিনতাইকারী সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাঝরাতে তার মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ওই যুবকের নাম তোফাজ্জল। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন বলে ধারাণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারী সন্দেহে শিক্ষার্থীরা আটক করে পরে দফায় দফায় তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে খাবারও খাওয়ানো হয় তাকে। পিটুনিতে অবস্থা গুরুতর হলে ওই যুবককে প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। সেখানে পুলিশের নির্দেশে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বর্তমানে তার লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যারা দোষী তাদেরকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় মামলা করা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা ও বিচার দাবি:
এ ঘটনা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বলে মন্তব্য করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বার্তায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
এতে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।’